বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘কালী’ তথ্যচিত্র এবং এই সম্পর্কিত পোস্টার নিয়ে বর্তমানে সরগরম হয়ে পড়েছে দেশের রাজনীতি এবং সেই আঁচ বাংলাতেও এসে পড়েছে। নেপথ্যে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টার ভাইরাল হয়, যেখানে মা কালীকে সিগারেট খেতে দেখানো হয়েছে। এরপরেই এই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয় বহু মানুষ। অবশ্য এই প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র মা কালীকে ‘মদ-মাংস ভক্ষণকারী দেবী’ বলে উল্লেখ করেন। এই প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেই বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বিজেপি। এমনকি, এদিন তৃণমূল নেত্রীর গ্রেপ্তারির দাবি তুলে পুলিশ প্রশাসনকে আট দিনের সময় বেঁধে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে আদালতে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চিত্রপরিচালক লীনা মণিমেকলিয়ের কালী তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় কানাডার একটি মিউজিয়ামে। এরপরেই সেই সংক্রান্ত একটি পোস্টার গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে, যেখানে মা কালীকে সিগারেট খেতে দেখা যায়। এই ঘটনা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ উঠতে থাকে। এমনকি দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশ উক্ত চিত্র পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
যদিও এই সকল ঘটনা মাঝে লীনার পাশে দাঁড়ান বেশ কিছু মানুষ, যার মধ্যে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র। এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তাঁর দাবি, “মা কালী তো মদ, মাংসের দেবী। সেখানে যদি সিগারেট খায়, তাহলে আর কিসের আপত্তি?” এরপরেই তিনি বলেন, “আসলে এটা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করছে, আপনি ঈশ্বরকে কিভাবে দেখছেন, সেটার ওপর। আপনি যদি ভুটান কিংবা সিকিমে যান, সেখানে ঈশ্বরকে হুইস্কি দেওয়া হয়। আবার উত্তরপ্রদেশে এগুলি খারাপ।”
যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়ায়নি দল। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণটাই মহুয়া মৈত্রের ব্যক্তিগত মত বলে দাবি জানানো হয় তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে। তবে তা সত্ত্বেও বর্তমানে এই ঘটনায় সরব হয়ে রাজ্য সরকারকে ৮ দিনের সময় বেঁধে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন ভবানীপুরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ে জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিজেপি নেতা বলেন, “পয়গম্বর বিতর্কে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নূপুর শর্মার গ্রেফতারির জন্য আওয়াজ তোলেন। কিন্তু এখন যে মা কালীকে নিয়ে এত বিতর্ক হচ্ছে, সেই সম্পর্কে তিনি কিছু বলছেন না। আমরা ৭ থেকে ৮ দিন অপেক্ষা করবো। এর মধ্যে যদি মহুয়া মৈত্রর বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে সরকার কোন পদক্ষেপ না নেয়, তবে আমরা আদালতে পর্যন্ত যাব।”