বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন শিয়রে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা না হলেও রাজ্যে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রথম প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। রবিবার ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে প্রকাশ পেল লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের নাম। প্রত্যাশা মতোই পুরনো মুখের পাশাপাশি একাধিক নতুন মুখের নাম রয়েছে তালিকায়।
কোচবিহার কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী হচ্ছেন প্রকাশ চিক বড়াইক। জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন যথাক্রমে নির্মল চন্দ্র রায় এবং গোপাল লামা। রায়গঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণকল্যাণী। অপরদিকে বালুরঘাট থেকে দাঁড়াচ্ছেন বিপ্লব মিত্র। শনিবার ইস্তফা দেওয়া রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন আইপিএস অফিসার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন মালদা উত্তর কেন্দ্র থেকে। বোলপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন অসিত কুমার মাল।
বহরমপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। অপরদিকে বনগাঁ এবং ব্যারাকপুর থেকে দাঁড়াচ্ছেন যথাক্রমে বিশ্বজিৎ দাস এবং পার্থ ভৌমিক। বারাসাতের প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। প্রত্যাশা মতোই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে মিমি চক্রবর্তীর বদলে যাদবপুর কেন্দ্রে এবার প্রার্থী হচ্ছেন সায়নী ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর দুহাত কপালে! মোদীর সঙ্গে ‘পার্সোনাল’ কী কথা হল? জানালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা দক্ষিণ এবং উত্তরে চেনা মুখেই আস্থা রেখেছে তৃণমূল। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে মালা রায় এবং কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলিতে ঘাসফুল শিবিরের বাজি ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগ কেন্দ্রে মিতালি বাগ এবং তমলুক কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
কাঁথি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন উত্তম বারিক। প্রত্যাশা মতোই ঘাটাল কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন দেব ওরফে দীপক অধিকারী। ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুরের প্রার্থী যথাক্রমে কালিপদ সোরেন এবং জুন মালিয়া। পুরুলিয়া কেন্দ্রের তৃণমূলের হয়ে দাঁড়াচ্ছেন শান্তিরাম মাহাতো। অপরদিকে বর্ধমান পূর্ব থেকে দাঁড়াচ্ছেন ডঃ শর্মিলা সরকার। আসানসোল কেন্দ্রে তৃণমূল আস্থা রেখেছে শত্রুঘ্ন সিনহার ওপরেই। বীরভূমেও দাঁড়াবেন পুরনো মুখ শতাব্দী রায়। অপরদিকে বিষ্ণুপুর থেকে লড়বেন সুজাতা মণ্ডল খাঁ।
দমদম কেন্দ্র থেকে সৌগত রায়ের প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তবে শেষ অবধি দমদম কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে তাঁকেই দাঁড় করানো হয়েছে। অপরদিকে হাওড়া থেকে দাঁড়াচ্ছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদ এবং শ্রীরামপুরের প্রার্থী যথাক্রমে আবু তাহের খান এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদা দক্ষিণ থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন শাহনওয়াজ আলি রেহান। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে থেকে দাঁড়িয়েছেন খলিলুর রহমান। অপরদিকে কৃষ্ণনগরে ফের মহুয়া মৈত্রের ওপরেই আস্থা রেখেছে দল।
বসিরহাট কেন্দ্রে নুসরত জাহানের পরিবর্তে এবার তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন হাজি নুরুল ইসলাম। মথুরাপুর থেকে দাঁড়াচ্ছেন বাপি হালদার। উলুবেড়িয়া আসনে দাঁড়াচ্ছেন সাজদা আহমেদ। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে লড়তে দেখা যাবে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে। বাঁকুড়া থেকে দাঁড়াচ্ছেন অরূপ চক্রবর্তী। রানাঘাট কেন্দ্র থেকে এবার তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা মুকুটমণি অধিকারী। শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী সহ মোট ৭জন বিদায়ী সাংসদ এবার তৃণমূলের টিকিট পাননি।