বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক মাস ধরেই অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের দৌরাত্ম্যে টিকছেনা ভারতের কোনও শত্রু। ইতিমধ্যেই গত ১৯ মাসে ১৭ জন ভারত (India) বিরোধী সন্ত্রাসীর প্রাণ গেছে পাক (Pakistan) মাটিতে। দিন কয়েক আগেই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির হাতে আহত হয়েছে লস্কর-ই-তৈয়্যবা সন্ত্রাসী নেতা সাজিদ মীর (Sajid Mir)। আর এবার নিশানায় CRPF কনভয়ে হামলার মাস্টার মাইন্ড আদনান আহমেদ ওরফে হানজলা আদনান (Hanzala Adnan)।
ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীর তালিকায় ছিলেন তিনি। লস্কর ই তৈয়বা সন্ত্রাসবাদী আদনান আহমেদ করাচিতে কিছু অজ্ঞাত হামলাকারীদের হাতে নিহত হয়েছেন। সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে ঘটে যাওয়া সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার পিছনে হানজালা ছিলেন মাস্টারমাইন্ড। এই হামলায় ৮ জন জওয়ান শহীদ হন এবং মোট ২২ জন জওয়ান আহত হয়েছিলেন।
এমনকি ২০১৫ সালে জম্মুর উধমপুরে বিএসএফের একটি কনভয়ের উপর যে হামলা হয় সেই হামলার পেছনেও কুচক্রী হানজালার হাত ছিল বলে খবর। সেবারও সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ২ জওয়ান শহীদ হন এবং ১৩ জন জওয়ান আহত হন। এই ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু করেছিল NIA (National Investigation Agency)।
আরও পড়ুন : হাওড়া ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত ট্রেন, আতঙ্কে যাত্রীরা! ব্যাহত রেল পরিষেবা, কখন হবে স্বাভাবিক?
এরপর ২০১৫ সালের ৬ অগাস্ট একটি চার্জশিট দাখিল করে NIA। যাতে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর এবং পুলওয়ামা অ্যাটাকের পেছনে রয়েছে হানজালার হাত। গোটা হামলার পরিকল্পনা এবং পরিচালনা করেছিল এই হানজালাই। এমনকি যারা নতুন নতুন সংগঠনে যোগ দিত তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও করত সে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় গিয়ে এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল হানজা।
আরও পড়ুন : উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, রাস্তা যেন নদী! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে জলের তলায় চেন্নাই, মৃত ১৭
এখন এই হানজলার মৃত্যু লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সইদের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র বলছে, হানজালা আদনান ছিলেন হাফিজ সইদের অন্যতম পছন্দের। গত ৩ ডিসেম্বর অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় হানজালার শরীর। মোট ৪ টি গুলি পাওয়া গেছে তার শরীর থেকে। কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও হানজালাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েবেই লস্কর-ই-তৈয়বা প্রধানের কপালে। সূত্র বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী তড়িঘড়ি হানজালাকে গোপনে করাচির একটি হাসপাতালে ভর্তি করলেও তাকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন : কংগ্রেসের ভরাডুবির পর বাতিল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক! ‘পিণ্ডি চটকে গেছে’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে করাচি থেকে লাহোর___পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় খুন হয়েছে একের পর এক জঙ্গি নেতা। এই দীর্ঘ তালিকায় নাম রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনের কয়েকজন কমান্ডার ও সংগঠক। এছাড়াও আবু কাশেম কাশ্মীরি এবং কারি খুররম শেহজাদকেও গুলি করে খুন করে অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা। তালিকায় রয়েছে জইশ নেতা জহুর মিস্ত্রি ও হিজবুল নেতা মীর বশিরের নাম।