বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীনের আক্রমণাত্বক মনোভাবে লাগাম লাগানোর জন্য আমেরিকা (United States) বড় পদক্ষেপ ওঠানো শুরু করে দিয়েছে। ড্রাগন দ্বারা সম্প্রতি করা মিসাইল পরীক্ষণের জবাবে আমেরিকার সেনা ওয়াশিংটন থেকে বেজিং পর্যন্ত লক্ষ্য ভেদ করা মিসাইলের সফল পরীক্ষণ করে ফেলল। পরমাণু ক্ষমতা সম্পন্ন মিনিটমেন (Minuteman Missile) নামের এই মিসাইল আমেরিকার থেকে চীনের যেকোন প্রান্তকে নিশানা বানাতে পারে। এই মিসাইল আমেরিকার বিশেষ হাতিয়ার গুলোর মধ্যে একটি, যেটি যেকোন সময় খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে।
আমেরিকার সেনা বোয়িং এর এই মিনিটমেন মিসাইলের সাথে তিনটি প্রজন্মের সাথে যুক্ত। মিনিটমেন-১ ১৯৬২ সালে আমেরিকার সেনাতে যুক্ত হয়। আর এর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সংস্করণ ১৯৬৫ আর ১৯৭০ সালে সেনায় যুক্ত হয়। এই মিসাইল এতটাই শক্তিশালী যে আমেরিকার সেনার প্রধান হাতিয়ারের মধ্যে এটি মুখ্য হিসেবে গণ্য হয়। এই ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল এক মহাদ্বীপ থেকে অন্য মহাদ্বীপ পর্যন্ত ১৩ হাজার কিলো মিটার পর্যন্ত হামলা করতে সক্ষম।
আরেকটি বিশেষ ব্যাপার হল আমেরিকা এখনো পর্যন্ত এই মিসাইল অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে নি। ১৮.২ মিটার দীর্ঘ আর ১.৮৫ প্রসস্থের এই মিসাইল ম্যাক-৩ স্পিডে আকাশে ওড়ে। আর এই মিসাইল ৩০০ কেজির পরমাণু হাতিয়ার নিয়ে যেতে সক্ষম। এই মিসাইল আমেরিকা চীনের পাশে গুয়াম নেভেল বেসে মোতায়েন করে রেখেছে। জানিয়ে দিই, ২৭ আগস্ট সকালে চীন ৪ টি মিসাইলের পরীক্ষণ করেছিল। আর এরপরেই আমেরিকাও নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল।