ভুলে যাচ্ছি ভারতীয় হিরোদের! তিক্ত সত্য এটাই, যদি কোনো খেলোয়াড় ক্রিকেটার না হয় তাহলে তিনি গুরুত্বহীন

বাংলা হান্ট ডেস্ক : নীরজ চোপড়া, ভারতীয় অ্যাথলিট হিসেবে সমস্ত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন৷ এশিয়ার কমনওয়েলথ গেমসে সোনার পদক জয়ী এই অ্যাথলিটের করুণ কাহিনি শুনলে সত্যিই চোখে জল আসে৷ মাত্র চোদ্দো বছর বয়সে স্কুলে পড়ার সময় তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছিলেন৷

Neeraj Chopra celebrates after winningthe gold medal

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কারে নিজের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি৷ নবম শ্রেণিতে পড়ার চলাকালীন তাঁর শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছিল শুধুমাত্র খেলার জন্য গ্রামে একটি মাঠের অভাবে৷ এর পর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিকে হরিয়ানার এই অ্যাথলিট অনেক পুরস্কার পেয়েছেন কিন্তু যে খেলার মাঠের জন্য একদিন তিনি বাড়ি ছেড়েছিলেন আজও তাঁর গ্রামে খেলা অনুশীলনের জন্য একটি মাঠ নেই৷

বর্তমানে যখনই সেখানে তিনি যান সেখানে রাস্তায় তাঁকে প্র্যাকটিস করতে হয়, তাই জাতীয় অলিম্পিয়ান হিসেবে প্রতিটি গ্রামে একটি করে স্টেডিয়াম ও মাঠের দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ যদিও নীরজ চোপড়ার মতো অনেকেই এই সমস্যায় ভুগেছেন৷ অথচ আজ আমরা এই সমস্ত ভারতীয় হিরোদের ভুলতে বসেছি৷ ভারতীয় এই সমস্ত অ্যাথলিটদের কিছু মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে৷ আজ তারা অবহেলিত৷

এদের তালিকায় সম্প্রতি আরও একজনের নাম না করলেই নয় আর তিনি হলেন শিব কেশ ওয়ান৷ ছটি অলিম্পিকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এর পর চারটি আন্তর্জাতিক সোনা এবং দুটি ব্রোঞ্জ জয় করেছিলেন৷অথচ টাকার অভাবে কোনও দিন সে ভাবে কোচের প্রশিক্ষণ পাননি৷ প্রশিক্ষক ছাড়াই তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন৷

এর পর আরও একজন হলেন সীতা শাহ৷ মাত্র পনেরো বছর বয়সে 1600 মিটার দৌড়ে স্পেশালঅলিম্পিকে দু দুটি ব্রোঞ্জের পদক পেয়েছিলেন তিনি৷অথচ কেরিয়ারের মধ্য লগ্নে তাঁকে বিদায় জানাতে হয়েছিল খেলাকে আর পরিবারের অভাব ওঁর ডনের জন্য রাস্তায় বসে বিক্রি করতে হয়েছিল ফুচকা৷indian 1573132138

যদিও আজ তিনি ট্র্যাকে ফিরেছেন৷ নীরজ চোপড়া শিব কেসোয়ান ও সীতা শাহর মতো এ রকম অনেক খেলোয়াড়দের উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে দেশের মাটি থেকেই৷


সম্পর্কিত খবর