লোক কমান! সরকারি দপ্তরে নতুন নিয়োগ নিয়ে কড়াকড়ি! বিপদে পুরোনো চাকরিজীবিরাও?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিনের পর দিন গড়াচ্ছে আর পেঁয়াজের খোসার মতো খুলে আসছে নিয়োগ দুর্নীতির তত্ত্ব। গত দুবছর ধরে চাকরি কেলেঙ্কারির জেরে কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। হকের চাকরির দাবিতে রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। এদিকে আদালতে চলছে একের পর এক মামলা। সব মিলিয়ের বেহাল অবস্থা। এরই মাঝে এবার নতুন নিয়োগ নিয়ে কড়া নির্দেশ রাজ্যের (West Bengal Government)।

শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে কড়া রাজ্য (West Bengal Government)

সূত্রের খবর খাদ্য, শিক্ষা সহ রাজ্যের বেশ কিছু দফতরে ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিমানণে শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। সেই সকল শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের (New Recruitment) জন্য আবেদন গিয়েছিল সরকারের কাছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯০টি শূন্যপদ পূরণের দাবি জানায় স্কুল শিক্ষা দফতর। যার জন্য বছরে ব্যয় হবে ১১.৬০ কোটি টাকা।

২৮ জন নিরাপত্তারক্ষী ও ১৪২ জন উদ্যান পালন প্রযুক্তি সহায়ক নিয়োগের প্রস্তাব পাঠিয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। যার জন্য বছরে ৫.৭৪ কোটি টাকার প্রয়োজন পড়বে। পাশাপাশি শিলিগুড়ি কমিশনারেটের আটটি থানা ও ট্রাফিক গার্ডের জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার, পূর্ত, শ্রম, স্বাস্থ্য, কৃষি দফতর কর্মী নিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এই শূন্যপদ নিয়েই এবার বড় নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা।

গত সোমবার শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বৈঠক আয়োজিত হয় নবান্নে। উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা সহ সরকারের মুখ্য কিছু দফতরের সচিব। সেখানেই মুখ্য সচিবের নির্দেশ, বিপুল নিয়োগ একেবারেই নয়। শূন্যপদ থাকলেও এক সঙ্গে এক গুচ্ছ নিয়োগে ‘না’ মুখ্য সচিবের।

মুখ্য সচিব আরও জানান, রাজ্যে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পর্ষদ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সকল স্থানে কর্মরত সরকারি কর্মীদের প্রয়োজনে অন্য দফতরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ফলে নিয়োগ সংখ্যার হার কমবে। এদিকে উক্ত বৈঠকে কোনও সরকারি দফতরে নয়া নির্মাণের এই মুহূর্তে প্রস্তাব না পাঠানোর জন্য বলেছেন অর্থ সচিব মনোজ পন্থ।

আরও পড়ুন: এবার বিদ‍্যুৎ বিলে মিলবে বিরাট ছাড়, ফের বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, কীভাবে পাবেন?

তার কথায়, এইমুহুর্তে আপাতত আর কোনও নতুন নির্মাণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শীর্ষ আমলাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee)। সেখানেই সরকারি কর্মীদের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, এমন বহু সরকারি দফতর রয়েছে যেখানে কর্মীদের কোনও কাজ নেই। তারপরও মাস গেলে মোটা মাইনে দিয়ে তাদের রাখা হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে আনুষঙ্গিক খরচও।

Mamata Banerjee

মুখ্যমন্ত্রীর কড়াকড়ির পরই তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্য সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা।সেখানেই নিয়োগের বিষয়টি নির্দিষ্ট করেন তিনি। গোটা এই পক্রিয়া পরিচালনার জন্য স্টেট লেবেল কমিটি অন রাশানালাইজেশন অ্যান্ড অপটিমাল ইউটিলাইজেশন অফ হিউম্যান রিসোর্সেস নামে একটা সরকারি কমিটি গঠন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর