বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফল ঘোষণার পর থেকে দিকে দিকে তৃণমূলের সন্ত্রাস চলেছে। কোথাও ভাঙা হয়েছে ঘরবাড়ি, আবার কোথাও বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের খুন করা হয়েছে। এছাড়াও মহিলাদের শ্লীলতাহানি এমনকি ধর্ষণের ঘটনাও সামনে এসেছে। রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া এই সন্ত্রাসের পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারা গঠিত চারজনের প্রতিনিধি দল বাংলায় এসেছে পৌঁছেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই প্রতিনিধি দল যখন নবান্নে বসে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন তখন আরেকদিকে মেদিনীপুরের পাঁচকুড়ির সন্ত্রাস কবলিত এলাকার পরিদর্শনে যাওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা হয়। এই হামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কিছু না হলেও তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে।
আরেকদিক, দক্ষিণ বঙ্গের মতো উত্তর বঙ্গেও বেড়ে চলেছে সন্ত্রাস। ইতিমধ্যে এই সন্ত্রাসের ভয়ে নিজ প্রাণ রক্ষায় কয়েকশ মানুষ বাংলার সীমান্ত পেরিয়ে অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁদের থাকা, খাওয়ার সুবন্দোবস্ত করেছেন।
আর এবার এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক হয়েছেন তুফানগঞ্জের বারোকোদালি-২ গ্রামের মহিলারা। শয়ে শয়ে মহিলা এলাকা শান্তি বজায় রাখার দাবিতে এবং মা-বোনেদের সম্মান রক্ষার দাবিতে মিছিল করেন। পাশাপাশি তাঁদের ‘জয় শ্রী রাম” ধ্বনিও দিতে শোনা যায়। এই মিছিলের নেতৃত্বে কয়েকজন পুরুষকেও দেখা যায়। পুরুষদের ‘হিন্দুত্ব জিন্দাবাদ” স্লোগান দিতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, বিজেপির তরফ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে যে, এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। আর তাঁর জন্য বিজেপি সব হিন্দুদের এক হওয়ারও আবেদন জানায়।