‘নির্বাচন কমিশনকে বলব, তৃণমূলের নির্বাচনী প্রতীক তুলে দিক’, বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) একের পর এক নির্দেশ ঘিরে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। প্রাথমিক টেট থেকে শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মত একাধিক দুর্নীতি মামলায় যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়ে চলেছেন, তাতে ইতিমধ্যেই অস্বস্তি বেড়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এই ধারা বজায় রেখে এবার এমন এক বক্তব্য রাখলেন জাস্টিস গাঙ্গুলি, যা কেন্দ্র করে হতবাক বঙ্গবাসী।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস। এর মাঝে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্ত অগ্রসর করে নিয়ে চলেছে। এর মাঝে এদিন ক্ষোভ জাহির করে অভিজিৎবাবু বলেন, “যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভাকে দুর্নীতি মামলায় পার্টি করে দেওয়া হবে।” এক্ষেত্রে সকলকে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনের প্রতীক প্রত্যাহার করার প্রসঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ করেন তিনি, যা নিয়ে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব রাখে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরির বিষয়ে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক রূপটি তুলে ধরের পাশাপাশি তিনি বলেন, “কারোর চাকরি যাক, এটা উচিত নয়। নিয়ম বহির্ভূতভাবে যাদেরকে চাকরি প্রদান করা হয়েছে, তাদের কথা ভেবে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। যদিও এক্ষেত্রে সে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।”

পরবর্তীতে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ জাহির করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং তিনি বলেন, “কার মস্তিষ্ক থেকে এই ধরনের বিষয়টি বেরিয়েছে, তা জানার দরকার।” একইসঙ্গে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে তলব করেন বিচারপতি।

sc

এদিন মামলাটির শুনানি চলাকালীন অভিজিৎবাবু জানান, “এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে যা গোটা ভারতবর্ষে এর আগে কখনো নেওয়া যায়নি। বর্তমানে আমার সন্দেহ হচ্ছে গণতন্ত্র ঠিক হাতে নেই। প্রয়োজন পড়লে গোটা ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেওয়া হবে।” এরপর বিতর্ক বাড়িয়ে তিনি বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনকে বলব, তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী প্রতীক প্রত্যাহার করা হোক। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যাবে, তা অনুচিত।” যদিও অভিজিৎবাবুর এহেন মন্তব্য প্রসঙ্গে বর্তমানে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে কোন রকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর