বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘খেলনা বাড়ি’ (Khelna Bari) সিরিয়ালের নাম শোনেননি এমন সিরিয়ালপ্রেমী কমই আছেন। জি বাংলার এই নতুন সিরিয়াল শুরু থেকেই দর্শকদের প্রিয় হয়ে থেকেছে। নায়িকা মিতুলের সাহসিকতা, তার বুদ্ধি বরাবর ইউএসপি হয়ে থেকেছে এই সিরিয়ালের। বিপদ যত অবাস্তবই হোক না কেন, অদ্ভূত ভাবে প্রতিবারই বেঁচে ফিরেছে মিতুল। তবে তার বাস্তব জীবনটাও কম কঠিন ছিল না।
কথা হচ্ছে অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতির (Aratrika Maity) ব্যাপারে। খেলনা বাড়ি সিরিয়ালে মিতুলের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। সিরিয়ালে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তবে কিন্তু এখনো স্কুলের পড়াই শেষ করে উঠতে পারেননি আরাত্রিকা। অনেক কম বয়স থেকেই অভিনয় শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। নিজে রোজগার করে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন বাবা মায়ের পাশে।
ঝাড়গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে আরাত্রিকা। প্রথম বার ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ সিরিয়ালে ক্যামেরার সামনে মুখ দেখিয়েছিলেন তিনি। একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে সেই চরিত্রে কোনো সংলাপ ছিল না।
রাণী রাসমণি সিরিয়ালে অভিনয় করার পরেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। তখন হাতে কোনো কাজ ছিল না আরাত্রিকার। পেটের ভাত জোগাবেন কীভাবে কোনো ঠিক ছিল না। তখনি আসে বড় সুযোগ। কলকাতায় সিরিয়ালের অডিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আরাত্রিকা। কিন্তু তাতেও মুশকিল।
লকডাউনে ট্রেন বন্ধ থাকায় কীভাবে কলকাতায় আসবেন সেটা ভেবে মাথায় হাত পড়েছিল আরাত্রিকার। অভিনেত্রী জানান, সে সময়ে মেয়ের জন্য বিয়ের আংটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। বিয়েতে অভিনেত্রীর মাকে সেই আংটিটা দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। সেকথা এখনো মনে রেখে দিয়েছেন আরাত্রিকা।
সান বাংলার ‘অগ্নিশিখা’ সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান আরাত্রিকা। ততদিনে তিনি বাবা মায়ের সঙ্গে কলকাতাতেই থাকতে শুরু করেছেন। অগ্নিশিখা শেষ হওয়ার পর আর পরের কাজের জন্য হা পিত্যেশ করতে হয়নি আরাত্রিকাকে। সোজা প্রথম সারির জনপ্রিয় চ্যানেল জি বাংলায় ‘খেলনা বাড়ি’র মিতুল হয়ে ওঠেন তিনি।
Related Search: