বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই শুরু হবে ভোট উৎসব। ইতিমধ্যেই প্রতিটি দল তাদের নিজ নিজ রণনীতি সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বিজয় রথ থামানোর উদ্দেশ্যে একটার পর একটা বৈঠক করে চলেছে ‘ইন্ডিয়া জোট’র (INDIA Alliance) শরীকি দলগুলি। তবে এখন যে প্রশ্নটা প্রতিটি ভারতবাসীর মনে উঁকি দিচ্ছে তা হল, এই মহাজোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হতে চলেছে?
দিনকয়েক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতৃত্বের মুখে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম উঠে গেলেও তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর দ্বন্দ্ব। তবে এবার শোনা যাচ্ছে, বারাণসীর (Varanasi) আসনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে হেভিওয়েট প্রার্থী দিতে চায় ইন্ডিয়া জোট। কে সেই হেভিওয়েট প্রার্থী? এই বিষয়ে পোক্তা খবর না এলেও এটা স্পষ্ট যে, ইন্ডিয়া জোট চাইছে বারাণসীতে টক্কর হোক সমানে সমানে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে বারাণসীর আসন থেকে লড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমবারেই বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করেন তিনি। সেবার তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করেছিল AAP-এর জাতীয় কনভেনর অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রায় ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ভোটে জয় লাভ করেন মোদী। শোনা যাচ্ছে, এবার কেজরিওয়ালও চাইছেন এই সিটে কোনও হেভিওয়েট প্রার্থীকেই দাঁড় করানো হোক।
আরও পড়ুন : অবশেষে সুখবর! এই দিন থেকে DA বাড়ছে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের, বড় ঘোষণা মমতার
যদিও ঠিক কাকে দাঁড় করানো হবে সেটা এখনও স্পষ্ট নয় তবে নাম উঠে এসেছে অনেকেরই। তবে যে নামটা সবচেয়ে বেশি জোরালো হচ্ছে তা হল প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালেও বারাণসীর প্রার্থী হিসেবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম উঠে এসেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস নেতা অজয় রাইকে প্রার্থী করা হয়। তবে এবারও নরেন্দ্র মোদীকে টক্কর দেওয়া তো দূর, কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেননি তিনি। কারণ বারাণসীতে থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনা যে বেশ শক্ত কাজ তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সুখবর! মিলবে বিশেষ সুবিধা, পরীক্ষার আগেই বড় ঘোষণা পর্ষদের
বিগত কয়েক দশকের ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখতে পাবেন ১৯৯১ সাল ছাড়া ধারাবাহিকভাবে বারাণসীতে পদ্ম ফুটেছে। তাই এবার মোদী ঝড় থামাথে ভিন্ন পথে হাঁটতে চলেছে ইন্ডিয়া জোট। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দফায় দফায় বৈঠক। চলতি মাসের গোড়ার দিকেই বারাণসীতে একটি মিছিল করার কথা বলেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তবে প্রশাসনের তরফে অনুমতি না মেলায় বন্ধ হয়ে যায় মিছিলের ভাবনাচিন্তা।