বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান দিনরাই সকলে ওজন নিয়ে সচেতন থাকতে পছন্দ করেন। কারণ অতিরিক্ত ওজন হয়ে গেলে শরীরে (Health) নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলেছেন ব্ল্যাক কফি সঠিক সময় খেলে আপনি ওজন কমাতে পারবেন। আজকে প্রতিবেদনে রইলো সারাদিনই কত কাপ কফি ও কখন খেলে আপনি সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
ওজন কমাতে কালো কফির সঠিক সময় ও পরিমান জানুন (Health)
দুধ চিনি দিয়ে কফি খাওয়ার মধ্যে আসলে কোন উপকারিতা নেই। আপনি যদি কফি খেতে চান তাহলে আপনাকে খেতে হবে ব্ল্যাক কফি। তাও আবার চিনি ছাড়া। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্ল্যাক কফি বিপাকক্রিয়া হার বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে শরীরের ফ্যাট তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়। তাই চিকিৎসকেরা ওজন কমানোর সময় ব্লাক কফি খাওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত ব্ল্যাক কফি খাওয়াও শরীরের পক্ষে বেশিরভাগ সময় ক্ষতিকারক হয়ে। তাই জেনে নিন কখন ও কিভাবে ব্ল্যাক কফি খেলে আপনার ওজন হাতের মুঠোয় থাকবে (Health)।

আরও পড়ুন: ফ্রিজ ভরা ধনেপাতা? ঝটপট বানিয়ে ফেলুন টক-ঝাল-মিষ্টি চাটনি, রেসিপি রইল
ওজন কমাতে দিনের কোন সময় ব্ল্যাক কফি খাওয়া প্রয়োজন?
চিকিৎসকদের মতে ব্ল্যাক কফি খেতে হবে সঠিক সময়। তাহলেই একমাত্র ওজন কমতে পারে। এছাড়াও ফ্যাট গলাতে হলে সবার আগে প্রয়োজন শরীর চর্চা করার। তাই শরীর চর্চা করার ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে ব্ল্যাক কফি খান। পাশাপাশি ব্ল্যাক কফিতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে দিতে পারে। এই উপাদান শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
পাশাপাশি ব্ল্যাক কফি খেলে পরে এক্সারসাইজের সময় শরীরের ঘাম ঝরানোর এনার্জি পাবেন।এছাড়াও, কালো কফি খেলে শরীরে ‘থার্মোজেনেসিস’ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে যা চর্বি গলাতে সহায়ক হয়। শরীরের ভিতরের তাপমাত্রার এই বদলকেই বলা হয় থার্মোজেনেসিস। আর যদি ব্যায়াম না করেন, তাহলে ব্রেকফাস্ট এর পরে ও দুপুরের খাবার আগে এক কাপ ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। কিন্তু কখনোই বিকেল ৪’টের পর কফি খাবেন না।
এছাড়াও ওজন কমানোর জন্য আপনি দিনে এক থেকে দু কাপ ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। সাধারণত ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেন খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় ব্ল্যাক কফি খেলে পরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে অ্যাংজাইটি ও অ্যাসিডিটির মতন সমস্যা দেখা যায় (Health)।












