SSC-র পর এবার বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষকেরা, ফেরাতে হবে বেতনের তিন-সাড়ে তিন লক্ষ টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে একাধিক মামলা চলছে আদালতে। কোথাও ঝুলছে হাজার হাজার শিক্ষকের চাকরি। প্রাথমিক নিয়েও চলছে মামলা। এরই মাঝে প্রাথমিকে কর্মরত শিক্ষকদের নিয়ে বিরাট আপডেট। প্রাইমারি টিচারদের (Primary Teacher) মধ্যে কাদের যোগ্যতামান ‘এ’ ক্যাটেগরির, এই বিষয়ে তথ্য পেতে স্কুলশিক্ষা কমিশনারের দ্বারস্থ হচ্ছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (ডিপিএসসি) সচিবরা।

মনে করা হচ্ছে ডিপিএসসি সচিবদের এই পদক্ষেপে বিরাট বিপদে পড়তে চলেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকরা তাদের চাকরিকালের মধ্যে পদোন্নতির সুযোগ পান। এতে তাদের বেতন হয় গিয়ে হাইস্কুলের শিক্ষকদের স্কেলের প্রায় সমান।

   

আগে রাজ্য সরকারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ২০০৬-এর ১ জানুয়ারি বা তারপর (২০১১) প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে অধিকাংশই মাধ্যমিক পাশ ও এক বছরের শিক্ষকতার প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন। সেই সময় তাদেরই ‘এ’ ক্যাটেগরির শিক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তবে পরবর্তীতে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ গিয়ে হয় দু’বছরের। যার কারণে অধিকাংশ প্রাথমিক শিক্ষকই এক বছরের ব্রিজ কোর্স করে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ আপ-টু-ডেট করেন। তবে বর্তমান সময়ে এসে তারা যদি ‘এ’ ক্যাটেগরি হিসেবে বিবেচিত না হলে, সার্ভিস বুক রিকাস্ট করতে হবে। এর ফলস্বরূপ প্রত্যেক প্রাথমিক শিক্ষককে কম করে হলেও প্রায় তিন-সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে। যা শুনে রীতিমতো মাথায় বাজ পড়েছে সেই সকল শিক্ষকদের।

জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই একাধিক ডিপিএসসি সচিবরা এই বিষয়টি লিখিতভাবে বিকাশ ভবনে চিঠি লিখে জানতে চাইছেন। প্রসঙ্গত, এই সকল প্রাথমিক শিক্ষকরা চাকরিতে যোগদানের সময়েই ‘এ’ ক্যাটেগরি হিসেবে চিহ্নিত হন। সেই হিসেবেই মর্যাদাও পান। তবে পরে তাদের মধ্যে অনেকেই (২০১৩-১৪-য়) এক বছরের ব্রিজ কোর্স করেন।

primary tet

আরও পড়ুন: ‘যে মানুষটিকে আমি..,’ সম্পর্কে শীলমোহর, এবার নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন দীপ্সিতা

বলা হচ্ছে ২০১৩-র ৪ মার্চের সরকারি নির্দেশিকাকে দেখিয়ে যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা পরে এক বছরের ব্রিজ কোর্স করেছেন, সে দিন থেকেই তাদের ‘এ’ ক্যাটেগরি হিসেবে ধরা হবে। এই এত পরিমাণ শিক্ষক যদি ‘এ’ ক্যাটেগরির থেকে বেড়িয়ে যান তাহলে এবার তাদের বেতনে প্রভাব পড়বে। তবে এই নিয়ে সত্যিই বেতন ফেরাতে হলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা আদালতের দ্বারস্থও হতে পারেন। যা নিয়ে সমস্যায় পড়বে রাজ্য সরকার।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর