হাতে মাত্র ২ দিন সময়! এবার ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিল রাজ্য সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে রয়েছে মাত্র ২ দিন সময়! এবার কার্যত ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। সম্প্রতি একটি প্রকল্প (Government Scheme) নিয়ে রাজ্যের তরফ থেকে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়ে গিয়েছে।

কোন প্রকল্প নিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে সরকার (Government of West Bengal)?

একশো দিনের কাজের মতো এবার আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও ‘একলা চলো নীতি’ অনুসরণ করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের (Banglar Bari Scheme) প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাস থেকেই টাকা পাঠাতে শুরু করেছে সরকার। এবার এই স্কিমের টাকাই কবের মধ্যে দিতে হবে তার ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দেওয়া হল।

রিপোর্ট বলছে, রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) পঞ্চায়েত দফতরের তরফ থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা কবের মধ্যে দিতে হবে সেই নিয়ে নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগ! এবার গ্রেফতার ‘এই’ ৩ জন! ঘুরে যাবে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের মোড়?

রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও অবধি বাংলার বাড়ি (Banglar Bari) প্রকল্পের ৮ লক্ষ ২২ হাজারের বেশি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকে গিয়েছে। বাকিদের অ্যাকাউন্টে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত দফতরের তরফ থেকে জেলায় জেলায় এই মর্মে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

জানা যাচ্ছে, উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকে যাওয়ার পর ব্লক আধিকারিকরা বাড়ি তৈরির কাজে নজরদারি চালাবেন। সরকারের নির্দেশ, চারটি স্তরে এই নজরদারির কাজ করতে হবে। বাড়ির কাজ শুরুতে উৎসাহ প্রদান, নির্মাণকাজ শুরু হওয়া, ছাদ তৈরি অবধি কাজ হয়ে যাওয়া এবং সম্পূর্ণ বাড়ির কাজ সম্পন্ন হওয়া- এই চারটি ধাপে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

উল্লেখ্য, চলতি বছরেই আবাস যোজনা প্রকল্পে রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর মাস থেকেই প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। এবার সেই টাকা পাঠানোর কাজ সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল।