বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল সকালেই হাজির হন তাঁরা। প্রায় ২০ ঘন্টা ম্যারাথন জেরার পর তদন্তকারীদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা পিএসি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যানী (Krishna Kalyani)। বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টা নাগাদ তাকে বাড়ি থেকে বের করে রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরে তাঁর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তকারীদের গাড়িতে রওনা হওয়ার আগে কৃষ্ণ বলেন, ‘কৃষ্ণ কল্যানী কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত না, তদন্তকারীরা ভাল ব্যবহার করেছেন, তবে সকাল হলেই সবটা জানা যাবে।’
কৃষ্ণ কল্যানীর অফিস থেকে কিছু নথি তদন্তকারী অফিসাররা তাদের সঙ্গে নিয়ে যান। তবে এই বিষয় নিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের পক্ষ থেকে কোনোও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কৃষ্ণ কল্যানীকে কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা তাঁর অফিসে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেও চলে নথি সংগ্রহের কাজ।
গতকালকে রাত বাড়তেই বিধায়কের বাড়ির সামনে ফাঁকা হতে শুরু করে। এরপর ভোর চারটে নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় কনভয়ে চাপিয়ে সুদর্শনপুরে অফিসের দিকে রওনা দেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এখন সেই অফিসের সামনে ভিড় জমিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণীর অনুগামীরা। উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিসের দিকে রওয়ান দেওয়ার আগে কৃষ্ণ কল্যাণী জানান, ওঁদের সঙ্গে পুরো সহযোগিতা করছি। ওঁরা ভাল ব্যবহার করেছে। আমি সন্তুষ্ট। বিধায়ক আরও জানান, তদন্তকারীরা তাঁকে অফিসে নিয়ে যাচ্ছেন না। বরং তিনি নিজেই আধিকারিকদের সুদর্শনপুরের অফিসে নিয়ে যাচ্ছেন। এরপরই তিনি দাবি করেন, ‘রায়গঞ্জের বিধায়ক কোনও দুর্নীতি করে না। মানুষের জন্য কাজ করে। কাল এটা প্রমাণ হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার সাত সকালেই কৃষ্ণ কল্যানীর বাড়িতে পৌঁছে যান আয়কর ও ইডি আধিকারিকরা। ৪টি গাড়ি করে আসেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। বাড়ি ও অফিস, দুই-ই ঘিরে রেখে চলে তল্লাশি। বিধায়কের বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে বলে খবর। স্থানীয়দের কথায়, ছোটো একটা ব্যবসা থেকে হঠাৎই উত্থান হয় কৃষ্ণ কল্যাণীর। একথা নিজেও অবশ্য বহু বার বলেছেন বিধায়ক। বিশাল বাংলো স্টাইল বাড়ি, বিশাল বহুতল অফিস। আচমকাই গড়ে ওঠে সব। ২০১৬-২০১৭ সালের পর। এখন সেই উত্থানের পিছনে কোনও রকম অসঙ্গতি রয়েছে কিনা, সেটাই আয়কর ও ইডি আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন বলে জানা যাচ্ছে