বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যপালের নিরাপত্তা জন্য আধা সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে রাজ্যপালের সুরক্ষার জন্য আধা সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। ওই চিঠির মাধ্যমে খুলসা ভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে ‘হঠাৎ এমন কি হলো এবং কি কারণে রাজ্যপালের নিরাপত্তার খাতিরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?’ উল্টো দিকে আবার বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রহুল সিনহা দাবি রেখে বলেছেন যে ‘রাজ্য পুলিশের উপর কোনরকম ভরসা নেই, সে কারণেই আধা সেনা নিয়োগ করা হয়েছে।’
রাহুল সিনহা বলেন, ”রাজ্য পুলিস তো তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। পুলিসের হাতে কি রাজ্যপাল সুরক্ষিত?” শুধু তাই নয় এর সাথে তিনি আরো বলেন ”রাজ্যপালের নিরাপত্তায় সরকার কী ব্যবস্থা সেটা বলতে হবে। কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলুক সরকার।”
এই সমস্ত ঘটনার সূত্রপাত ঘটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাবুল সুপ্রিয় কে নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল। সেই ঘটনা এমনই চরমে পৌঁছায় যে তাকে উদ্ধার করতে স্বয়ং আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীশ্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে ঘটনাচক্রে রাজ্যপাল নিজেও আটকে পড়ে সেখানে রাজ্যপালও আটকে পড়েন। পড়ুয়াদের বিক্ষোভ দেখানো তার পক্ষেও দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্যপালের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি করে রাজভবন। জেড প্লাস নিরাপত্তা চান জগদীপ ধনখড়। এই আবেদনের ভিত্তিতেই জগদীপ ধনখড়ের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় আধা সেনা।
কিন্তু কেন নেওয়া হবে এমন সিদ্ধান্ত? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। চিঠিতে লেখা রয়েছে, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। কেন আধা সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এবার দেখার বিষয় আগামী দিনে এই ঘটনার জল কোনদিকে গড়ায়।