“লাল হলুদ ঢলছে….”, টুটু বসুর বিদ্রুপের কড়া প্রতিক্রিয়া দেবব্রতর! ডার্বির আগেই উত্তপ্ত আবহাওয়া

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সপ্তাহের শেষে সম্পন্ন হবে হাড্ডাহাড্ডি কলকাতা ডার্বি। শনিবার গুয়াহাটি স্টেডিয়ামে হতে চলা এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের আগেই কার্যত উত্তপ্ত হয়ে উঠল আবহ। শুধু তাই নয়, মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant) এবং ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) কর্তারা একে অপরের সাথে রীতিমতো জড়িয়ে পড়লেন বাগযুদ্ধে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি মোহনবাগান কর্তা টুটু বসু ইস্টবেঙ্গলকে ঘিরে একটি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।

মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant) কর্তাকে উত্তর দিলেন দেবব্রত:

গত বুধবার বিকেলে ভবানীপুর ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন যে, “লাল হলুদের মতো কেন সূর্য ঢলে পড়ছে ভাই? সূর্যও ঢলছে, লাল হলুদও ঢলছে।” আর এই প্রতিক্রিয়ারই এবার কড়া জবাব দিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার।

Debabrata Sarkar replied to the head of Mohun Bagan Super Giant.

তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, “মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant) ক্লাব আছে বলে আমার জানা নেই। আমি এটা জানি, একটা ক্লাবের সঙ্গে মোহনবাগান মার্জ হয়েছে।” এদিকে, টুটু বসুর তির্যক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, “টুটু বাবু বরাবরই হাস্যকর কথাবার্তা বলেন। আমি মনে করেছিলাম বয়সের সঙ্গে হয়তো তাঁর পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু এখন দেখলাম সেটা হয়নি।”

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কগুলিকে প্রতিদিন গ্রাহকদের দিতে হবে ১০০ টাকা! নির্দেশ জারি RBI-র, কারণ জানলে হবেন খুশি

দেবব্রত আরও বলেন, “টুটু বাবু আসলে বলেছেন রেফারিং নিয়ে। উনি আমার থেকে বয়সে বড় হলেও ময়দানে উনি আমার থেকে জুনিয়র। টুটু বাবু নিজেই একটা সময় রেফারিকে ধাওয়া করেছিলেন। আর সেই কারণে আজকে টুটু বাবুর মুখে এই কথা বেমানান।”

আরও পড়ুন: বিরাট পদক্ষেপ আদানির! মেলালেন ISKCON-এর সাথে হাত, প্রতিদিন ১ লক্ষ পুণ্যার্থী পাবেন প্রসাদ

এর পাশাপাশি দেবব্রত প্রশ্ন করেন, “প্রতিটি ফুটবল ক্লাবের ভারতবর্ষের যে কোনও লিগ খেলতে গেলে কিংবা AFC বা ISL-এর মতো টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। ATK-র একটা লাইসেন্স ছিল। আরেকটা লাইসেন্স মোহনবাগান ক্লাবের (Mohun Bagan Super Giant) ছিল। কিন্তু, এখন কোন ক্লাবের লাইসেন্সে এই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট খেলে?” এছাড়াও দেবব্রত আরও জানান, “আমরা কোনও ৬ বা ৮ বছরের ক্লাবের কাছে আত্মসমর্পণ করিনি। আর এটাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কে ঢলে পড়েছে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর