বাংলা হান্ট ডেস্ক: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাফল্য পেতে গেলে করতে হয় অদম্য লড়াই এবং পরিশ্রম। আর সেই লড়াকু মানসিকতার ওপর ভর করেই উত্তরণের কাহিনি তৈরি করে ফেলেন অনেকে। ঠিক যেমন ঘটেছে দীপেশ কুমারীর সাথেও। সদ্য প্রকাশিত UPSC পরীক্ষায় দুর্ধর্ষ ফলাফল করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে। দারিদ্র্যের ভ্রূকুটিকে জয় করেই তিনি বিরাট সাফল্য পেয়েই সমগ্ৰ দেশবাসীর কাছে হয়ে উঠেছেন এক দৃষ্টান্ত।
মূলত, রাজস্থানের অটল বান্দ এলাকার কংকরের কুঁইয়ার বাসিন্দা গোবিন্দ গত ২৫ বছর ধরে ঠেলা গাড়িতে খাওয়ার বিক্রি করে আসছেন। তাঁর স্ত্রী সহ দুই মেয়ে এবং তিন ছেলে রয়েছে। এমতাবস্থায়, প্রথম থেকেই অভাবের সংসারে দু’দিন আগেই UPSC রেজাল্ট সবার জন্য একরাশ আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে। কারণ, গোবিন্দের মেয়ে দীপেশ কুমারী প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কঠোর পরিশ্রম করে UPSC-তে ৯৩ তম স্থান অর্জন করেছেন।
এমতাবস্থায়, মেয়ের এমন সাফল্যে গর্বিত সকলেই। যদিও, মেয়ে অফিসার হয়ে গেলেও নিজের পেশাকে ভোলেননি গোবিন্দ। বরং, ফলাফল আসার পরের দিনেও তিনি তাঁর ঠেলা গাড়িটিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ব্যবসার উদ্দেশ্যে। এই প্রসঙ্গে গোবিন্দ জানান, তাঁর পাঁচ ছেলে-মেয়ের মধ্যে দীপেশ সবার বড় এবং ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী।
দীপেশ ৯৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণি এবং ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেন। এরপরে, তিনি যোধপুরের এমবিএম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং করেন এবং তারপর আইআইটি মুম্বাই থেকে এম.টেক সম্পন্ন করেন। গোবিন্দ আরও জানান যে, দীপেশ দিল্লি থেকে UPSC-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই তিনি ৯৩ তম স্থান অর্জন করেছেন।
পাশাপাশি, গোবিন্দের দ্বিতীয় মেয়ে মমতেশ কুমারী আগরওয়াল দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের ডাক্তার। ছেলে সুমিত আগরওয়াল মহারাষ্ট্রে প্রথম বর্ষে MBBS করছেন। এছাড়াও, তাঁর বাকি দুই ছেলে অমিত আগরওয়াল গুয়াহাটি থেকে MBBS-এর দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন এবং ছোট ছেলে নন্দকিশোর দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেছে।