বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমামকে (Sharjeel Imam) বড়সড় ঝটকা দিলো দিল্লী হাইকোর্ট (Delhi Court)। দেশদ্রোহীর মামলায় জেলে বন্দি শারজিল ইমামকে আদালত জামিন দেবে না বলে জানিয়ে দিলো। উল্লেখ্য, শারজিল ইমাম ২৫ এপ্রিল সাকেত আদালত দ্বারা দেওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল, যেখানে দিল্লী পুলিশকে বেআইনী কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষ করতে ৯০ দিনের নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।
Delhi High Court dismisses the petition filed by Sharjeel Imam (who was arrested for giving seditious speech & abetting riots in Jamia in Dec 2019) challenging trial court's order of giving more time to the investigation agency to probe him under UAPA without issuing a notice. pic.twitter.com/6uXicQfIPG
— ANI (@ANI) July 10, 2020
যদি হাইকোর্ট সাকেত আদালতের এই রায়কে পাল্টে দিত, তাহলে শারজিল ইমাম জামিন পেয়ে যেত। কিন্তু বিচারক বি কামেশ্বর রাও দ্বারা সাকেত আদালতের রায়কেই সঠিক বলে নির্বাচিত করে। দিল্লী হাইকোর্টের এই অর্ডারের পর শারজিলকে জেলেই থাকতে হবে।
এর আগে দিল্লী পুলিশ দিল্লী হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করে বলেছিল যে, শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আরও সময়ের দরকার। এই কাজের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ আর টেকনিক্যাল কলের মাধ্যমে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থা করোনার জন্য জারি লকডাউনের ফলে শারজিল ইমামের সাথে হোয়াটসঅয়াপ আর টেকনিক্যাল কলের মাধ্যমে সম্পর্ক করছে।
এবার দিল্লী পুলিশ শারজিলের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য আরও ৯০ দিন অতিরিক্ত সময় পেয়ে গেলো। শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে ভারতীয় পিনাল কোড ধারা 153A, 124A আর 505 অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়ার পর শারজিল অনেক কয়েকদিন পলাতক ছিল। এরপর তাঁকে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়।