এটা সেই দিন যেটাকে পাকিস্তান ও পাকিস্তান সমর্থকরা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও কখনো ভুলিয়ে দিতে পারবে না। ঘটনা আজ থেকে ৪৮ বছর আগের যখন বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মুক্তি লাভের জন্য সংগ্রাম শুরু করেছিল। আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করেও বাংলাদেশের সেই সংগ্রামে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। আজকের দিনেই করাচি বন্দরে (Karachi Port) ঢুকে স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় নৈসেনা (Indian Navy)। আমেরিকা ও পাকিস্তান যখন এক হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে দমন করতে এগিয়ে এসেছিল তখন ভারতের নৈসেনা বীরত্ব ও পরাক্রমতার বড়ো উদাহরণ পেশ করেছিল।
আজকের দিনে ভারতের নৌসেনা করাচিতে প্রবেশ করে তান্ডব চালিয়েছে। সেই সময় করাচি বন্দর পাকিস্তানের জন্য অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ছিল। ভারতের নৌ সেনা সেখানে প্রবেশ করে করাচি পোর্ট ধ্বংস করে সেখানে থাকা পাক সেনাদের শেষ করেছিল। স্থল সেনা ও বায়ুসেনা আগেই পাকিস্তানের অহংকারকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এবার পালা ছিল ভারতীয় নৌ সেনা। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে ভারতীয় সেনা চালু করেছিল অপারেশন ট্রাইডেন্ট (Operation Trident)।
যুদ্ধের সময় ভারতের সেনা এক বিশেষ নিয়ম পালন করে। নিয়ম এই যে, ভারতের সেনা পরিকল্পনা এমনভাবে করে যাতে প্রানের ক্ষয়ক্ষতি কম করে শীঘ্রই যুদ্ধ শেষ করা যায়। এই নিয়মটি মূলত পন্ডিত চাণক্য এর সময় থেকে আবিষ্কার হয়ে ছিল বলে মনে করা হয়। এখন যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কম হবে, একই সাথে যুদ্ধ শীঘ্রই শেষ হবে এর জন্য আরো এক পরিকল্পনা করা হয়। যে দেশের সাথে যুদ্ধ হবে সেই দেশকে আর্থিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করে ভারত। করাচি বন্দর যেহেতু পাকিস্তানের অর্থনীতির একটা পিলার ছিল, তাই সেদিকেই আক্রমন করার পরিকল্পনা করেছিল ভারতীয় নৌ সেনা।
ভারতীয় নৌসেনা রাতের অন্ধকারে আচমকা আক্রমন করে পাকিস্তানের দুটি জাহাজের উপর মিসাইল দেগে দেয়। মিসাইল কোনো রকম টার্গেট মিস না করে সঠিক স্থানে ভেদ করে। ফলস্বরূপ পাকিস্তানের দুটি জাহাজ ডুবে যায় এবং একটি জাহাজ ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নৌ সেনার এই আক্রমণে পাকিস্তানের করাচিতে যে আগুন লেগেছিল তা ৭ দিন ও ৭ রাত জ্বলেছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলি এটাকে এশিয়ার সবথেকে বড়ো বোমা ফায়ার বলে আখ্যা দিয়েছিল। আজকের এই দিনেই ভারত নৌ সেনা দিবস (Indian Navy Day) পালন করে এবং স্মরণ করে করাচি বন্দরে পালন করা বিশাল দীপাবলিকে।