বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ১৮ই মার্চ ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের কাছে একটি বিশেষ দিন। দশ বছর আগে, এই দিনে, ভক্তদের কাছে ক্রিকেটের ঈশ্বর বলে পরিচিত সচিন টেন্ডুলকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার শেষ ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছিলেন। এই ম্যাচে ‘চেজ মাস্টার’ নামে পরিচিত বিরাট কোহলি নিজস্ব স্টাইলে ভারতকে ম্যাচ জেতান। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই এশিয়া কাপের ম্যাচে কোহলি কেরিয়ারের সেরা ফর্ম দেখিয়েছিলেন। যদিও তখন সকলে জানতেন না যে এটি সচিন টেন্ডুলকারের শেষ ওয়ান ডে ম্যাচ হতে চলেছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০টি সেঞ্চুরি করা বিরাট কোহলি এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪৮ বলে ১৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে ৬ উইকেটে জিতিয়েছিলেন। গোটা ইনিংসে কোহলি ২২ টি চার এবং একটি গগনচুম্বী ছয় মারেন। কোহলির এই ইনিংসের উপর ভর করেই ৩৩০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে সফল হয় ভারত। প্রতিযোগিতার কথা বলতে গেলে, পাকিস্তান এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নির্ধারিত ৫০ ওভারে বোর্ডে ৩২৯ রান তোলে। এই সময়ে দুই ওপেনার, মহম্মদ হাফিজ (১০৫) এবং নাসির জামশেদ (১১২) সেঞ্চুরি করেন। হাফিজ ও জামশেদের মধ্যে প্রথম উইকেটে ২২৪ রানের বিশাল জুটি গড়ে উঠেছিল।
৩৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দলের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই খাতা না খুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন গৌতম গম্ভীর। এরপর সচিন টেন্ডুলকারের সাথে জুটি বাধেঁন বিরাট কোহলি। কোহলি ও সচিন (৫২) দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৩ রান যোগ করেন এবং তারপরে রোহিত শর্মার (৬৮) সাথে তৃতীয় উইকেটে ১৭২ রানের জুটি গড়েন। এই ম্যাচে কোহলি তার কেরিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি করেন এবং নিজে ব্যক্তিগত ১৮৩ রানের স্কোর গড়েন।
সেটিই পরবর্তীকালে সচিন টেন্ডুলকারের শেষ ওয়ানডে হয়ে দাঁড়ায়। তার কেরিয়ারের দিকে তাকালে দেখা যাবে তিনি ৪৬৩ ম্যাচে রেকর্ড ১৮,৪২৬ রান করেছিলেন। এই সময়ে সচিন করেছিলেন ৪৯-টি শতরান এবং একটি ডাবল সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে ৯৬টি হাফ সেঞ্চুরিও ছিল তার ঝুলিতে। সচিনই প্রথম ব্যাটসম্যান হিসাবে ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ইনিংসে ২০০ রান করেছিলেন।