বাংলাহান্ট ডেস্ক: সপ্তাহান্তে মর্মান্তিক দুঃসংবাদ বাংলা সাহিত্য জগৎ থেকে। প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র (Pandav Goyenda) স্রষ্টা প্রখ্যাত সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyaay)। শুক্রবার সকাল ১১ টা বেজে ১০ মিনিট নাগাদ শহরের একটি নার্সিং হোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অসুস্থ অবস্থায় সেখানে ভর্তি ছিলেন সাহিত্যিক। জানা যাচ্ছে, হঠাৎ স্ট্রোক হয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ বাংলা সাহিত্য জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। শিশু, কিশোরদের জন্য অমূল্য রত্ন উপহার দিয়ে গেলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সাহিত্য মহল। সাহিত্যিকের পরিবারের তরফে জানানো হয়, তিন তিনবার স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। গত বছরের শেষ থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল লেখককে। সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অবস্থার আবারো অবনতি হয় তাঁর। এবারে আর ফেরা হল না সাহিত্যিকের।
জানা যাচ্ছে, হাওড়ার একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছিল ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছিল। শুক্রবার সকালে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন প্রবীণ সাহিত্যিক।
হাওড়ায় জন্মগ্রহণ এবং সেখানেই বেড়ে ওঠা সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলির মতোই তিনিও ছোট থেকেই অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী ছিলেন। বাংলা সাহিত্য জগৎকে নানা ভাবে সমৃদ্ধ করেছে ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা। তবে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয় তাঁর কিশোর গোয়েন্দা চরিত্রগুলি। বাবলু, বাচ্চু, বিচ্চু, বিলু, ভোম্বল আর তাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী সারমেয় পঞ্চু, যাদের পোশাকি নাম পাণ্ডব গোয়েন্দা।
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় সৃষ্ট পাণ্ডব গোয়েন্দা আট থেকে আশি সবার মন ভাল করেছে। বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসে কার্টুন, সিরিয়ালে রূপ পেয়েছে। ২০১৭ সালে শিশুসাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে বাংলা আকাদেমি সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছিল ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে চিরতরে হারিয়ে শোকবিহ্বল গোটা সাহিত্য জগৎ সহ তাঁর অগুন্তি গুণগ্রাহী পাঠকরা। শুক্রবার হাওড়া শিবপুর বার্নিং ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের।