বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে বর্তমানে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে চলেছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) থেকে শুরু করে প্রাথমিক টেট (Primary Tet) মামলায় একের পর এক দুর্নীতি উঠে আসার কারণে জেরবার শাসক দল। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) একাধিক নেতা নেত্রীদের নাম এই দুর্নীতি মামলায় উঠে এসেছে। সম্প্রতি প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। তবে এসকল অস্বস্তি মাঝে পাল্টা ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে রাজ্য সরকার।
একদিকে যখন এসএসসি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের রাস্তা বের করতে বদ্ধপরিকর দল, আবার অপরদিকে বাংলায় একাধিক শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ শুরু করতে মরিয়া হয়ে উঠলো শিক্ষা দপ্তর। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েকে কেন্দ্র করে এদিন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি বৈঠকে বসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের একাধিক আধিকারিকরা। এদিন বৈঠক শেষে সকল চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আশার খবর শোনালেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর দাবি, “পুজোর আগে ২১ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হতে চলেছে।” এক্ষেত্রে নবম থেকে দ্বাদশ এবং উচ্চ প্রাথমিক বিভাগে নিয়োগ হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি নবম থেকে দ্বাদশ এবং আপার প্রাইমারি স্তরে একাধিক শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাই প্রধানত উক্ত বিষয়টি এদিনকার বৈঠকে মূল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে এদিন বৈঠকের পর ব্রাত্য বসু জানান, “পূজোর আগে ২১ হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে নিয়মে একাধিক পরিবর্তন আনা হতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে আমরা আইন মন্ত্রীর কাছে নিয়মগুলি পাঠাচ্ছি।” ফলে শিক্ষামন্ত্রীর এদিনকার আশ্বাসের পর বাংলায় সকল চাকরি প্রার্থীদের আশা কিছুটা বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি, রাজ্যে একাধিক শূন্যপদ থাকলেও আদালতের জন্য সেগুলিতে নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই পাল্টা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি বলেছেন যে, আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণেই নাকি নিয়োগ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবে প্রায় ২৫ হাজারের কাছাকাছি শূন্য পদে আমাদের কোন রকম নিষেধাজ্ঞা না থাকা সত্ত্বেও সেখানে কেন নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না? কথায় কথায় আদালতকে টেনে এভাবে মন্তব্য করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার।” আর বিচারপতির মন্তব্যের পর এদিনকার বৈঠক এবং পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য বেশ প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।