বাংলা হান্ট ডেস্ক :ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে মহিলারা নদীকে তুষ্ট রাখতে পালন করে ঝিঙ্গে ষষ্ঠী। এটি আসলে প্রকৃতি কে শান্ত রাখার প্রয়াস। দেবী আসলে প্রকৃতিই। যে প্রকৃতি ফুলে-ফলে-জলে ধরে রাখে জীবন। অন্যায়ের শাসনে কখনও ভয়ংকর। কখনও মমতাময়ী। সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে প্রকৃতি পুজোর উপাচার। মহিলারাই করেন ঝিঙে ষষ্ঠী। পুরুষরা সেখানে যেতে পারেনা। এই নদীর পাড়ে ই ঝাড়গ্রাম।
স্থানিয়দের মধ্যে একটি গল্প প্রচলিত আছে। সেটি কিছুটা এইরকম, ১১২৫ বঙ্গাব্দ তে ঝাড়গ্রাম সুবর্ণরেখা নদীর ভয়োবহতার সাক্ষী থেকেছিল। বর্ষায় নদীর জল ফুলে এমন বন্যার সৃষ্টি করে যাতে মানুষের জমি, ফসল, সংসার, আপনজন, সন্তান, গবাদি পশু সব ভেসে যায়। সেই সময় ঝিঙে গাছের শক্ত লতাই প্রাণ বাঁচিয়েছিল তাদের। আর তবে থেকেই বলা হোয় নদীকে শান্ত রাখার জন্য এই গোপিবল্লোভ পুরে ঝিঙে ষষ্ঠী র প্রচলন। কারুর কারুর কাছে আবার তা নদী ষষ্ঠী।পুজোর শেষে এই ঝিঙে গাছ ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীর জলে।মহিলারাই এই পুজো করে থাকে এমনকি পুরোহিতরা ও মহিলা ।পুরুষরা এই পুজোয় অংশ নিতে পারেনা এবং এটাই চোখে পড়ার মতন বিশেষত্ব এই পুজো র। কারণ তারা নদীকেও মহিলা রূপেই দেখে।দুর্গাপুজোর একমাস আগে হয় এই পুজো। কচুগাছ পূজিতা হয় দশভূজা রূপে।