বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সারা দেশজুড়ে রমরমিয়ে বাড়ছে করোনা। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সুনামিতে রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলাও। বেডের অভাব, অক্সিজেনের অভাব, চিকিৎসার অভাবে কাতারে কাতারে মরছে মানুষ। একদিকে যখন চলছে বেসরকারী হাসপাতাল গুলির রমরমা ব্যবসা। তখনই অন্যদিকে আবার হাসপাতালে থেকেই তোলা তোলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের আগে বিরোধীদের প্রচারের রীতিমতো একটি বড় অংশ ছিল কাটমানি। সবকিছুতেই কোনো-না-কোনোভাবে কাটমানি দিতে হয় নেতাদের, এটাই ছিল অভিযোগ। নির্বাচনের পরে ফের একবার অন্য রূপে ফিরে এলো কাটমানি। এবার করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর নাম করে তোলা করার অভিযোগ উঠল তমলুকের তৃণমূলের যুব নেতা পার্থসারথী মাইতির বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করল তমলুকের বেশ কিছু বেসরকারি নার্সিং হোমের মালিক। অন্যদিকে অবশ্য অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে পার্থসারথী মাইতির দাবি, তমলুকের নার্সিংহোমগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা মোটেই ভালো নয়। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করছেন একাধিক করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবার। আর সেই নিয়ে সরব হওয়াতেই তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনছেন নার্সিংহোমের মালিকরা। যদিও ওই নার্সিংহোম মালিকদেরই একজন জানান, “আমরা এসপি সাহেব এবং এসডিপিও সাহেবের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি কোভিডের এই পরিস্থিতিতেও আমরা যেভাবে সর্বক্ষণ পরিষেবা দিয়ে চলেছি তারপরেও নার্সিংহোম গুলির কাছে এসে টাকা দাবি করছে। কখনো পাঁচ হাজার কখনো দশহাজার কখনো বিশ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে দাবি জানাচ্ছে। ওনারা বলছেন কোভিড রোগীদের খাবার দেবেন। কিন্তু শুধুমাত্র হ্যান্ডবিল ছাড়া কিছুই ওদের কাছে নেই।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত পার্থসারথি মাইতি জানান, “অভিযোগ যারা করেছেন প্রমাণ করার দায়িত্ব তাদের। অভিযোগ তো প্রমাণ করতে হবে। এখন সমস্ত হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। যদি দেখা যায় আমরা কারো কাছে টাকা চেয়েছি তাহলে সেটা তারা প্রমাণ করুক। তবে আমরা গিয়েছি, সেই ছবি আমাদের কাছেও আছে। মানুষের কাছে আমরা ভিক্ষা চেয়েছি। যে আমাদের চাল, ডাল দান করা হোক। কারণ আমরা যে সেবাটা করছি সেটা আমার একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। ”
অভিযুক্ত পার্থসারথি মাইতি সমস্ত অভিযোগ ওড়ালেও এই ঘটনায় যে ফের একবার অস্বস্তিতে পড়ল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কারণ নির্বাচনের আগেও একাধিকবার কাটমানিকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট অসস্থিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। এমনকি সামনে থেকে স্থানীয় নেতাদের কাটমানি ফেরত দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। এই ঘটনার পরে ফের এমন এক ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।