‘শীঘ্রই কেন্দ্রের সঙ্গে DA-র ফারাক কমানো হবে, আর আন্দোলন করতে হবে না’, রাজ্য সরকারের বার্তায় তোলপাড়

Published on:

Published on:

dearness allowance(31)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমববঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) দাবিতে বহুদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। বকেয়া ডিএ নিয়ে শীর্ষ আদালত কী নির্দেশ দেয় সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। এই আবহেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক কমানোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তবে এ রাজ্যে নয়।

পড়শি রাজ্যে বাড়ছে ডিএ, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর | Dearness Allowance

ঘটনাস্থল ত্রিপুরা। শুক্রবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার কার্যকালের ২৯ মাসে আমি সরকারি কর্মচারীদের ২৯ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। আমরা রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র মধ্যে যে ফারাক রয়েছে তা কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি।’

সরকারি কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘বকেয়া ডিএ পাওয়ার জন্য আন্দোলনের কোনও দরকার নেই।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কীভাবে সরকারি আধিকারিক এবং কর্মচারীদের অ্যাড-হক প্রমোশনের নিয়মিত করা যায়, তা নিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। খুব শীঘ্রই আপনারা ইতিবাচক ফলাফল পাবেন।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে ত্রিপুরার রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৩৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্ত ডিএ-র পরিমাণ ৫৫ শতাংশ। দীপাবলির আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা আরও ৩-৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৮-৫৯ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। এই আবহে কেন্দ্র-রাজ্য ডিএ-র ফারাক বাড়তে থাকায় অসন্তোষ বাড়ছিল রাজ্য সরকারী কর্মীদের। এরই মধ্যে সরকারি কর্মীদের বার্তা দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

government employees

আরও পড়ুন: ফের বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে! আজ কোথায় কোথায় তাণ্ডব? আবহাওয়ার খবর

গতকাল মানিকবাবু আরও বলেন, গত সাত বছরে রাজ্য সরকার ৫,০০০-র বেশি শিক্ষক নিয়োগ করেছে। সবমিলিয়ে গত সাত বছরে বিভিন্ন বিভাগে ১৯,৮০০ সরকারি কর্মী নিয়োগ হয়েছে। সরকারি স্কুলে পড়াশোনার মান উন্নত করতে ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেন তিনি।